ইউক্রেন যুদ্ধে শুধু বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহেই সংকট সৃষ্টি করবে না, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটও সৃষ্টি করতে পারে। এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
পুরো ইউরোপেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার একটি প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি । আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সীমাহীন বৈশ্বিক ক্ষতির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে দিয়েছেন গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিবের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিধিতে বোধহীন, মাত্রায় নির্মম এবং বৈশ্বিক ক্ষতির সম্ভাবনায় সীমাহীন। ধ্বংস, ক্ষতি, স্থানচ্যুতির এ চক্র বন্ধ করতে হবে। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যুদ্ধ শেষ করার।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার একটি অর্থবহ সমাধানের জন্য যুদ্ধ সত্ত্বেও ইউক্রেনের কৃষি উৎপাদন এবং রাশিয়া ও বেলারুশের খাদ্য ও সার উৎপাদনকে বিশ্ব বাজারে পুনরায় একীভূত করা প্রয়োজন। আমি এই বাস্তবতায় নিয়ে আসার জন্য সংলাপের সুবিধার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
এর আগে গত সপ্তাহে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শাটল কূটনীতির (বিরোধে উভয় পক্ষে যোগাযোগ রাখা মধ্যস্থতাকারী) অংশ হিসেবে রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করেন। সে সময় তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার কিয়েভ সফরের সময় পূর্ব ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ চলছিল। এমনকি তার হোটেলের পাশেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধে শুধু বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহেই সংকট সৃষ্টি করবে না, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটও সৃষ্টি করতে পারে। এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। পুরো ইউরোপেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার একটি প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। এমনকি পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন খোদ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেনের কেউই আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান। ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।